“কোথায় তুমি?”
“এই তো – হাঁটছি। ব্যস মিনিট দশেক আর।”
“সত্যি মা, তুমি পারও বটে! তোমার ফোন আউট অফ কভারেজ বলে বিষ্ণুকে করলাম। বলল তুমি গাড়ী মানা করে দিয়েছ। বাসেই এলে তো?”
“হ্যাঁ, গ্রামে গঞ্জে এখনও নেটওয়ার্ক পুরো হয়ে উঠতে পারেনি। মোবাইল ফোন চলছে এই বড় কথা। তোর বাবার হাঁটতে খুব ভালো লাগতো। আমিই বাধা দিতাম। আজ কেন জানি না হাঁটতে ইচ্ছে করল। কতো দিন কতো রাত তোর বাবা এই রাস্তায় হেঁটেছে। তোর দাদুর সময়ে তো রিক্সাও ছিল না। সবাই পায়েই হাঁটত। তুই রাগ করিস না। একটু বাদেই পৌঁছে যাবো।”
“আমার রাগ করলে কি হবে? সবই তো নিজের মতো করে কর। ভাই ছেড়ে দিয়ে আসবে বলল তাও না বললে। নীলাও যেতে পারতো। কি যে তুমি কর না মা!”
“পিন্টু – নীলাও তো তোর মতো ব্যস্ত থাকে। সবার সংসার আছে। তুই চিন্তা করিস না।”
“হ্যাঁ – যা ভালো বোঝো তাই করো। আমি আর ফোন করবো না। মনে করে পৌঁছে ফোন করো।”
“হ্যাঁ রে – ”
কিছু বলার আগেই ফোন কেটে দিয়েছিল দু মাসের বিধবা সত্তর ছোঁয়া কাঞ্চন মুখার্জি মল্লিকের জ্যেষ্ঠ পুত্র বিজনেসম্যান অর্ণব মল্লিক। দিল্লি থেকে মায়ের প্লেনে টিকিট করতে চেয়েছিল সে। কিন্তু মায়ের না করাতে বাধ্য হয়ে রাজধানী এক্সপ্রেসে সীট বুক করেছিল। তাও তো জেদ হয়েছিল অর্ডিনারি স্লিপার ক্লাসে যাবে। দেখবে পুরনো দিনের স্মৃতি কতোটা ফিরে আসে। দুই ছেলে এক মেয়ে নাতি নাতনি সবাই এক সুরে না করে দিয়েছিল।
নানান স্মৃতি সম্পূর্ণ মন্থন করার আবেগই বোধহয় কাঞ্চনের ইচ্ছাশক্তিকে তীব্র করে উনিশ ঘণ্টার সফরকে দু ঘণ্টা লেট করিয়ে দিয়েছিল। ড্রাইভারকে ফোনে ‘না’ করে দিয়ে বাসে চেপে বসেছিল সে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে। নিকট আত্মীয় বিয়োগের পর স্বদেশে ফিরলে এমনিতেই তাই হয়। আর এ তো নিজের স্বামী হারিয়ে এসেছিল।
হ্যাঁ, তিন মাস আগে দিল্লির সব থেকে ধনী এলাকা গ্রেটার কৈলাশে বড় ছেলের কাছে থাকা কালীন তার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ এক মাসের অতিযত্নের অত্যাধুনিক চিকিৎসা সত্ত্বেও প্রান ত্যাগ করেছিল তার স্বামী। মৃতদেহ গ্রামে আনার কোনরকমের চিন্তা লেশমাত্রও কারোর মনে ধরেছিল না। অর্ণবের কাকা জ্যাঠা কেউ ছিল না। পিসিদের দুজন আসতে চেয়েও পারেনি। আর একজন সময়মত খবর পেলে যেতে পারতাম এইরকম বাহানা দিয়ে শেষকৃত্যে যোগদান দিতে পারেনি। বাকীরা তো সব দূরের সম্পর্কের। পূর্ব এবং দক্ষিন ভারতে এইধরনের মানসিকতা খুবই সাধারণ। আর বর্তমানের পশ্চিম বাংলা এ ব্যাপারে সবার অন্যতম। তার ওপর রক্তের প্রভাব তো থাকেই। কাঞ্চনের শ্বশুর শাশুড়িও আত্মীয় বন্ধুবান্ধবের এমনকি নিজের মেয়েদের বাড়ীতে যাওয়ার ব্যাপারেও অত্যন্ত দ্বিধা বোধ করতেন। শাশুড়ি তো বিধবা হওয়ার বেশ কয়েক বছর পর জেদের বসে নিজেকে গণ্ডিবদ্ধ করে স্বামীর বাস্তুভিটাতেই প্রান ত্যাগ করেছিলেন। তখন তাঁর জীবিত ভাইদেরও সবাই আসতে পেরেছিল কোথায়? এই তো আমাদের সমাজ।
কাঞ্চনের স্মৃতিচারণ বাস চলতেই ঘুম এসে যাওয়ায় অপূর্ণ রয়ে গেল। কিন্তু দুপুর রোদের গুমোটে মাঝে মাঝে জেগে ওঠা স্বামী হারা তার মন যেন সবকিছুকে নিজের করে ভাবতে শুরু করেছিল। ঠিক যেন স্বামীর মতো। বহু দেশ ঘোরা তার ব্যবসায়ী স্বামী ছিল উদারচেতা, পরোপকারী। আন্তরিকভাবে তা হলেও লোকচক্ষুতে বোধহয় কখনও তা ফুটে ওঠেনি। কাঞ্চন তা জানতো। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের বিবাহিত জীবনে অনেকবার বিভিন্ন মধ্যবিত্ত মানসিকতা জাত আকাঙ্ক্ষার পূর্তি না হওয়ার স্থিতিতে স্বামী হৃদয় নাথ মল্লিক শান্ত স্বরে বলত, “সবই সময় সাপেক্ষ। ধৈর্যই সাফল্য প্রাপ্তির একমাত্র রাস্তা যেখানে সরঞ্জামের অভাব থেকে থাকে।”
কথাগুলো তখন ঠিক মনে ধরত না। আকাঙ্ক্ষার ক্রোড়েই বিষাদের জন্ম হয়। স্বামীকে উচ্চস্থানে সফল দেখার আকাঙ্ক্ষা পৃথিবীর সমস্ত স্ত্রীর যেন জন্মজাত ধর্ম। এখানে তো তা সময়ান্তরে মুখার্জি-মল্লিকের তারতম্য-বৈষম্যতে মিলেমিশে অন্য এক দীর্ঘমেয়াদী রূপ নিয়ে নিয়েছিল।
ভ্যানিটি ব্যাগটা ছাড়া অন্য কোন লাগেজ না থাকার দরুন বাস থেকে নেমে সোজা হাঁটতে লেগেছিল কাঞ্চন বাঁদিকের মোরাম রাস্তাটা ধরে। কিছুক্ষন আগে থেকে দেখা সোনালী সূর্যটা এখন লাল হয়ে দূরে ক্ষীরিশ গাছ গুলোর পেছন দিয়ে দিগন্ত ছোঁয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অস্তগামী সূর্যকে কেউ কখনও প্রণাম করে না। কিন্তু কি এক ভাবনায় ডুবে হঠাৎ দাঁড়িয়ে হাতজুড়ে সূর্যকে প্রণাম করল কাঞ্চন। তারপর ঝাপসা চোখে কয়েক পা এগোতেই তার মনে পড়তে লাগল দীর্ঘ বছরের পুরনো দিনগুলোর কথা। যখন এই চওড়া মোরাম বেছানো গাড়ী চলার রাস্তাটা একটা সরু গলি রাস্তার মতো ছিল। ওই তো ওখানে আগে একটা জলা পুকুরের মতো ছিল। কাদায় টাল সামলাতে না পেরে পা হড়কে পড়ে গিয়েছিল সে। হৃদয় নাথই হাত ধরে তুলেছিল তাকে। শহরের মেয়ে – রাগ তো হয়েছিল। কিন্তু মন সামলে নিয়েছিল সেদিন। কিন্তু সে তো অনেক পুরনো কথা। এতো তাজা হয়ে মনে পড়ে কি করে? আবার চোখ যেন ঝাপসা হয়ে এল। এখন যদি কখনো রাগ হয় কি হবে? সামাল দেওয়ার লোকটা তো আর নেই।
গাছ গাছালির ওপারে সারি করে বসা কয়েকটা চালাঘরের একটার পেছনে সূর্যদেবতা লুকিয়ে পড়ল।
এরা তখনও গরীব ছিল, এখনও গরীব হয়ে আছে। জেনে শুনেই কি এরকম থাকতে ভালবাসে না কি সত্যি এই গণ্ডী থেকে বেরনোর কোন রাস্তা নেই?
এই অপ্রাসঙ্গিক প্রায় অবাস্তব কথার একটা জবাব বোধহয় আসতো। কিন্তু তার আগেই ছেলের ফোন বেজে উঠেছিল।
* * *
ওর তো রাগ করারই কথা। বাড়ীতে নিজের গাড়ী আছে, ড্রাইভার আছে। বাজারে রিক্সা আছে। পয়সা আছে। সম্মান আছে। তা পায়ে হেঁটে কি কেউ যায়? ছেলের বকুনিটা ভালই লেগেছিল। ওর কথাগুলোর নস্তর্থ্যক ভাব কাঞ্চনের মনকে ছুঁতে পারেনি। হেঁটে চলার কি এক অজানা আনন্দ বরং তার মনের ওপর অধিকার জমিয়েছিল।
“জেঠিমা নাকি?”
গোধূলির যথেষ্ট আলোতেও মোড় কেটে মোটর সাইকেল থামানো প্রশ্নকর্তাকে চিনতে পারল না কাঞ্চন। অনেক কম বয়েস। ড্রাইভিং লাইসেন্সের বয়সের কাঠগড়ায়ও পৌঁছোয়নি বোধহয়। চেনা মুশকিল। এইতো বছর ঘুরল মাত্র গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে।
“আমি হারুন। শিবু সর্দারের ছেলে। আমার বাবা তোমার ছোট ছেলের সাথে এক বছর পড়েছে। সব সময় বলে। বিষ্ণুদা নেই? গাড়ী আনতে পারতো। আমি কি – ”
“না ভাই। এই তো একটুখানি। বেশ হাঁটছি।”
উপকারের ইঙ্গিত টুকু করতে পেরেছে ভেবে ‘না’ শোনার পরেও গদ গদ হয়ে ছেলেটার বাইক ছুটিয়ে বড় রাস্তার দিকে চলে যাওয়ার পর আনমনা হয়ে হাঁটতে হাঁটতে কাঞ্চন গ্রামীণ সম্পর্কের হিসেব কষতে থাকল, “ আমার ছোট ছেলে ওর বাবার সাথে – ওর বাবা আমার ছোট ছেলের সাথে এক বছর পড়েছে – সে তো অনেক আগে। গ্রামে ফিরে আসার চেষ্টায় দুবছর কাটিয়ে আবার শহরে চলে গিয়েছিলাম সবাই মিলে। তা জেঠিমা হলাম কি করে? ‘তুমি’টা না হয় আপন ভেবে নেওয়ার পরিস্ফুটন ধরে নেওয়া যায়। যা ভাল লাগে তাই বলেই সম্পর্ক বানানো হয় বোধহয়। মিলল না মিলল।”
বাড়ীর সামনে রাস্তার কোণার আলোটা এখনও জ্বলেনি। বিষ্ণু এগিয়ে আসছিল। হাতে তার বড় ব্যাটারির টর্চ।
“অর্ণব বলেছে বোধ হয় তোকে এগিয়ে আসতে?”
“হ্যাঁ দিদা। গাড়ীটা কেন মানা করলেন? আমায় বকা দিল মামা।”
কাঞ্চন ব্যাগ খুলে ফোনটা বার করতে করতে বলল,“সে তুই কিছু মনে করিস না।”
বড় গ্রিল গেটটা খুলতে খুলতে কেমন একটা করুণ ভাব করে বিষ্ণু বলে উঠল,“দাদুকে শেষের সময় কেউ দেখতে পেল না।”
তার কথায় যেন কর্ণপাত না করেই অতি সুন্দর করে গড়ে তোলা বাগান বাড়ীর চৌহদ্দিতে ঢুকেই ফোনে বলে উঠল কাঞ্চন,“হ্যাঁরে, পৌঁছে গেছি – এই ঢুকছি। তুই পিন্টু আর নীলাকে বলে দে – হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক মতো খেয়ে নেবো। চিন্তা করিস না – রেস্টই তো করবো। দাদু ভাই কি করছে? – আচ্ছা পড়তে দে। বৌমা অফিস থেকে ফেরেনি বোধ হয়?”
“না, আমিও তো অফিসে।”
“ও – তা এই যে বললি দাদু ভাই পড়ছে?”
“হ্যাঁ, এখানেই পড়ছে। জেদ ধরল। ঠাম্মি নেই। আমি অফিস আসবো। গাড়ী পাঠাও।”
“আচ্ছা – রাখ এখন। সকালে কথা হবে। ভালো থাকিস।”
বিষ্ণুর বউ এতক্ষন শুনছিল। ফোন কেটে দেওয়ার পরেই ফুঁফিয়ে কেঁদে উঠল,“দাদুকে দেখতে পেলাম না। আর যে কখনও দেখতে পাবো না।”
উল্টো সান্ত্বনা দিল কাঞ্চন,“কেঁদে হবে কি? যার যখন যাওয়ার সে যাবে। কেউ ঠেকাতে পারে না। ট্যাঙ্কে জল তুলেছিস? আমি স্নান করবো।”
“গিজার চালিয়ে দিই? জল গরম হয়ে যাবে ততক্ষণে।”
“না – আজ ঠাণ্ডা জলেই স্নান করবো। ওর মেডিটেশনের ঘরটা খুলে দে। স্নানের পর একটু বসবো ওখানে।”
পুরনো সাবেকী স্টাইলের ঘরটা ভেঙ্গে বছর দশেক আগে হৃদয় নাথ নিজে থেকে অতি আধুনিক ভাবে বানিয়েছিল এই ঘরটা। ছোট শহর তো দূর – মেগাসিটির সাথে পাল্লা দিয়ে এটা এখনও আধুনিক। পুরনো গাছপালা খুব একটা না কেটেই সাজিয়েছিল পুরো বাগানটা। পুকুরটার চার পাড় সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো। লাইটের সাথে সাথে গান বাজানোর স্টিরিও স্পীকার লাগানো গোটা বাগানটাতে। বেশ কয়েকটা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও লাগানো রয়েছে সিকিউরিটির জন্যে। নীলার জেদে আলাদা একটা ছোট সুইমিং পুলও বানানো হয়েছিল। জল তার কাচের মতো পরিষ্কার। আর এই সবকিছু দেখাশোনা করে বিষ্ণু আর তার বউ। ঠিকের লোক দরকার হলে বিষ্ণুই আনে। প্রায় আট বছর হয়ে গেল বিষ্ণুর। এদের ছেলেপুলে কেউ নেই। এক বছর আগে পর্যন্ত হৃদয় নাথ নিজেই গাড়ী চালাত যখন মাঝে মাঝে একা আসতো। বোনেদের বাড়ি যেত। কিন্তু গত বছর স্থায়ীভাবে থাকার জন্যে ফিরে আসার পর থেকে ধীরে ধীরে গাড়ী চালানোর সাহস সে হারিয়ে ফেলেছিল। বলতো – বাবার চলে যাওয়ার বয়েস পেরিয়ে এলাম। আর দু বছরে আশি হয়ে যাবে। গাড়ী আর চালান যাবে না। ৭৫ এর পর সরকারও তো লাইসেন্স ইস্যু করে না। এবার কোনদিন ভগবানই আমার জীবন গাড়ীকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে তুলে নেবে।
তা তাই ঘটল বছর ঘুরতে।
কাঞ্চনের আজ সবকিছু যেন বেশ একটু বদলানো। সকালে প্রায় পঁচিশ বছর ধরে খেয়ে আসা ব্লাডপ্রেসারের বড়িটা জেনেশুনেই খেল না। গাড়ী ছাড়া না চলার লোক গাড়ী কে না করে দিল। রাতে কোথাও না বেরনোর লোক গোটা বাগানটা ঘুরে নিল রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজিয়ে। আর এখন ঠাণ্ডা জলে স্নান।
মন কিন্তু তার একদম হালকা, শান্ত। মেডিটেশন থেকে বেরিয়ে খাবার খেয়ে ছোট ছেলে, নাতি-নাতনি, বউমার সাথে অল্প কথা বলে নীলাকে ফোন করে কথার শেষে বলল, “পারিস তো চলে আয়। এক সপ্তাহ ঘুরে যা।”
তার পর শুতে যেতেই তার যেন মনে হল কিছু একটা ভুলে যাচ্ছে। “হ্যাঁ – তাইতো। ডাইরিটা। ওইটাই তো ভুলে যাচ্ছিলাম।” নীরব অভিব্যক্তি কাঞ্চনের।
স্বামীর মাঝে মাঝে ডাইরি লেখার অভ্যেস ছিল। আর কাঞ্চনের তা লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ার। শেষ দুদিনের বাকী থেকে গিয়েছিল। বুক শেল্ফের শেষের তাকের কোনায় গোঁজা দিল্লি যাবার সময় ভুলে যাওয়া ডাইরিটা বার করে বেডের ল্যাম্পের আলোয় খুলে ধরল কাঞ্চন।
“ …………… আজ একটা কথা বার বার মনে হচ্ছে তোমায় বলি, কাঞ্চী।”
হ্যাঁ এই নামেই তাকে ডাকতো তার স্বামী।
“আমার হৃদয়ের মাঝে যেন একটা শূন্যস্থান গড়ে উঠেছে। আমি অনুভব করতে পারি এই স্থানে তুমিই ছিলে। অনেক আশা আকাঙ্ক্ষার অপূর্ণতা, সন্তান সন্ততি পালনের কর্তব্য বোধে কখন যে তুমি সেই স্থান হতে সরে গেছ বুঝতে পারিনি। এই স্থান কেবল তোমারই নিমিত্ত ছিল। এক বারটি ফিরে এস। এই রিক্তস্থান পূর্ণ কর। আমি জানি তোমার হৃদয়েও এক স্থান আছে যেখানে আমার স্মৃতি রাখা আছে। সমস্ত সুখ দুঃখের স্মৃতি। সেই স্থান খালি কর। সেইখানে শুধু আমায় বসাও। এস আমাদের হৃদয়ের শূন্যস্থানে একে অপরকে বসিয়ে তা পূর্ণ করি।”
* * *
এই পর্যন্তই ছিল কাঞ্চন মুখার্জি মল্লিকের লুকিয়ে পড়া ডাইরিটা।
সকালে চোখের কোণায় শুকিয়ে যাওয়া অশ্রুবিন্দুর সাথে তার প্রাণহীন শরীরের উজ্বল হাসিমুখটা যেন বলছিল,“আমি আসিতেছি দখল করিবারে তোমার হৃদয়ের একমাত্র শূন্যস্থান।”
সমাপ্ত
খুব সুন্দর লেখা। Very touching.
খুব খুব সুন্দর হয়েছে👌🏻👌🏻👌🏻👌🏻
মন ছুঁয়ে গেল 😍😍😍😍
Thank you so much.